মাল্টা গাছের পরিচর্যা – সম্পূর্ণ গাইড ২০২৪

 

মাল্টা গাছের পরিচর্যা

মাল্টা একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল যা সাধারণত শীতপ্রধান অঞ্চলে জন্মালেও বাংলাদেশের জলবায়ুতে এটি চাষযোগ্য হয়ে উঠেছে। দেশে বারি মাল্টা ১ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাল্টা চাষ হচ্ছে যা স্বাদের পাশাপাশি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। মাল্টা গাছের সঠিক পরিচর্যা, সারের প্রয়োগ, রোগ প্রতিরোধ ও চাষের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। এই আর্টিকেলে মাল্টা গাছের চাষ ও পরিচর্যার বিস্তারিত নিয়মাবলী বাংলাদেশের জন্য এর উপযোগিতা এবং সঠিক পদ্ধতি তুলে ধরা হবে।

মাল্টা গাছের সাধারণ বৈশিষ্ট্য

মাল্টা গাছ সাধারণত ৫ থেকে ৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এটি সাইট্রাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং গাছের পাতাগুলো ঘন, হালকা সবুজ রঙের। মাল্টা গাছ সাধারণত মিষ্টি ও রসালো ফল উৎপন্ন করে। বাংলাদেশে বারি মাল্টা ১ একটি উন্নত প্রজাতি হিসেবে পরিচিত যা দেশে এবং উপমহাদেশে ব্যাপক চাষ হচ্ছে।

বারি মাল্টা ১ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য

বারি মাল্টা ১ বাংলাদেশের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবন যা দেশের আবহাওয়ায় সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। এর ফল বড় আকারের, মিষ্টি এবং রসে পূর্ণ। বারি মাল্টা ১ গাছ সাধারণত বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং এ গাছের উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৫-২০ টন।

মাল্টা চাষের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা

মাল্টা চাষের জন্য সঠিক জলবায়ু, মাটি এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে শীতকালে মাল্টা চাষের জন্য আবহাওয়া উপযুক্ত তবে মনোযোগ দিতে হবে মাটি প্রস্তুত, আলো এবং সেচ ব্যবস্থাপনার উপর।

  • মাটি: মাল্টা গাছের জন্য উর্বর এবং দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত। মাটির pH মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে রাখা প্রয়োজন কারণ এই মাটির এসিডিক এবং ক্ষারীয় মান গাছের জন্য পুষ্টিকর।
  • জলবায়ু: মাল্টা চাষের জন্য অপেক্ষাকৃত শুষ্ক আবহাওয়া ভালো। গ্রীষ্মকালে গাছের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে হয়। শীতকাল বা হালকা ঠাণ্ডা আবহাওয়া মাল্টা গাছের ফুল ও ফল উৎপাদনে সহায়ক।
  • সেচ: মাল্টা গাছ নিয়মিত সেচের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তবে জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। বিশেষত ফুল ও ফলের সময় পানি সরবরাহ করা জরুরি কারণ এতে ফলের মান ও পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

আর পড়ুন:টবে মরিচ গাছের পরিচর্যা 

বারি মাল্টা ১ চাষ পদ্ধতি

বারি মাল্টা ১ চাষে প্রথমে জমি ভালোমতো চাষ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের জন্য ৫ মিটার দূরত্বে গাছ বসানো উচিত যাতে প্রতিটি গাছের পর্যাপ্ত আলো ও স্থান পাওয়া যায়। রোপণের পর সেচের ব্যবস্থা এবং আগাছা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যাতে গাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।

মাল্টা গাছের পরিচর্যা নিয়মাবলী

মাল্টা গাছের পরিচর্যা যথাযথভাবে না করলে ফলন ও ফলের গুণগতমান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই গাছের রোগ, পোকা মাকড়, পানি এবং সার প্রয়োগের বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে।

  • নিয়মিত সেচ: মাল্টা গাছে সপ্তাহে অন্তত একবার সেচ দেওয়া উচিত। বর্ষাকালে সেচের পরিমাণ কমিয়ে আনা প্রয়োজন।
  • আগাছা পরিষ্কার: গাছের চারপাশে আগাছা জন্মালে তা নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিষ্কার করতে হবে। এতে মাটি উর্বর থাকে এবং গাছের পুষ্টি অন্য কোনো উদ্ভিদ শোষণ করতে পারে না।
  • সঠিক পানির পরিমাণ: মাল্টা গাছের জন্য সঠিক পানি সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতিরিক্ত পানি বা কম পানি গাছের ক্ষতি করতে পারে তাই পানি সরবরাহ নিয়মিত করতে হবে।

মাল্টা গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি

মাল্টা গাছের পুষ্টির চাহিদা পূরণে সঠিক সার প্রয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মাল্টা গাছের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন ধরনের সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে জৈব সার এবং রাসায়নিক সার উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • জৈব সার: কম্পোস্ট, গোবর, ভার্মি কম্পোস্ট ইত্যাদি জৈব সারের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা যায়। প্রতি ৬ মাস পরপর মাটির উপরে জৈব সার ছিটিয়ে দিতে হবে।
  • রাসায়নিক সার: মাল্টা গাছের জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সার প্রয়োজন। প্রতি মাসে একবার ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি সার নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রয়োগ করলে গাছের পুষ্টি নিশ্চিত হয়।

সার প্রয়োগের সময় ও পদ্ধতি

গাছের বয়স, মাটি এবং মৌসুম অনুসারে সারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। প্রায় ২-৩ মাস অন্তর সার প্রয়োগ করা হলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফুল ও ফলের সময় বাড়তি পটাশ প্রয়োগ করা যেতে পারে যা ফলের আকার ও স্বাদ বৃদ্ধি করে।

টবে মাল্টা চাষ পদ্ধতি

টবে মাল্টা চাষ করা হলে কম স্থানে চাষ করা সম্ভব হয় বিশেষ করে যারা বাড়ির ছাদে বা বাগানে স্থান সংকুলান করতে চান। টবে চাষের পদ্ধতি মূল চাষের প্রক্রিয়া থেকে কিছুটা ভিন্ন তবে পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • উপযুক্ত টব নির্বাচন: কমপক্ষে ২০ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন টব ব্যবহার করতে হবে যা মাটির শিকড় ভালোভাবে বিস্তৃত হতে দেয়।
  • মাটি প্রস্তুতি: টবে চাষের জন্য দো-আঁশ মাটি, বেলে মাটি ও কম্পোস্টের মিশ্রণ করা যায়। মাটির pH মান সঠিক রাখতে কিছুটা পাথর বা ইটের টুকরো দিয়ে মাটি তৈরি করা যেতে পারে।
  • সার ও পানি প্রয়োগ: টবে মাল্টা চাষে মাটিতে প্রয়োজনীয় জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে গাছের বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। টবে পানি দেওয়ার সময় অতিরিক্ত পানি যাতে টবের তলা দিয়ে বের হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

টবে মাল্টা গাছ চাষে আগাছা নিয়ন্ত্রণ, মাটির উর্বরতা বজায় রাখা এবং নিয়মিত পরিচর্যা করাই মূল চাবিকাঠি।

মাল্টা গাছের রোগ ও প্রতিকার

মাল্টা গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে যা ফলন কমিয়ে দেয় এবং গাছের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কিছু সাধারণ রোগ এবং প্রতিকার নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ফাঙ্গাসজনিত রোগ: মাল্টা গাছের পাতায় ও ফলে ফাঙ্গাস আক্রমণ করতে পারে যা “Anthracnose” এবং “Scab” রোগের কারণ হতে পারে। ফাঙ্গাস প্রতিরোধে প্রতিমাসে কপার-ভিত্তিক ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা উচিত।
  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: “Citrus Canker” রোগটি একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা যা গাছের পাতা, ডাল এবং ফলে দাগ সৃষ্টি করে। এ রোগের জন্য তাম্র ভিত্তিক ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং রোগাক্রান্ত ডাল বা পাতা ছাঁটাই করতে হবে।
  • মূল পচা রোগ: অতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে মাল্টা গাছে মূল পচা রোগ দেখা দিতে পারে। এই রোগে গাছের মূল পচে যায় এবং গাছ শুকিয়ে যেতে পারে। এই রোগ প্রতিরোধে সঠিক পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • পোকামাকড়: “Leaf Miner”, “Aphids” এবং “Mites” প্রভৃতি পোকা মাল্টা গাছের প্রধান শত্রু। এদের নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

গাছের রোগ প্রতিরোধে সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার, নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার এবং অতিরিক্ত পানির জমা ঠেকানো গাছের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

মাল্টা গাছে ফুল আসার আগে করণীয়

মাল্টা গাছে ফুল আসা এবং ফল ধরার জন্য কিছু বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। ফুল আসার আগে সঠিক পরিচর্যা করলে গাছের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

  • নিয়মিত সেচ: গাছের ফুলের সময় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে হবে। তবে অতিরিক্ত পানি না দেওয়া ভালো কারণ এটি ফুল ঝরে পড়ার কারণ হতে পারে।
  • সারের প্রয়োগ: ফুল আসার আগে গাছে ফসফরাস ও পটাশিয়াম সার প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পটাশিয়াম ফলের আকার ও স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং ফসফরাস গাছের শিকড়ের উন্নতি ঘটায়।
  • প্রচুর সূর্যালোক নিশ্চিত করা: ফুল আসার জন্য গাছের জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন। তাই গাছ এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে যথেষ্ট সূর্যালোক পৌঁছায়।
  • ফুল ঝরা প্রতিরোধে: কিছু ক্ষেত্রে গাছের ফুল ঝরে পড়তে পারে। এর জন্য প্রতি সপ্তাহে সামান্য মাত্রায় পানি এবং নিয়মিত সার দেওয়া উচিৎ।

আর পড়ুন:টবে লেবু গাছের পরিচর্যা 

মাল্টা গাছের ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ

মাল্টা গাছের ফল সাধারণত নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে পাকে। ফল সংগ্রহের সঠিক সময় ও পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফলন ভালো হয় এবং সংরক্ষণ করা সহজ হয়।

  • ফল সংগ্রহের সময়: ফলগুলো হালকা হলুদ রং ধারণ করলে তা সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। হাতে ধরে হালকা চাপ দিয়ে দেখে নিতে হবে ফল নরম এবং পাকলে তখন তা সংগ্রহ করা উচিত।
  • সংগ্রহের পদ্ধতি: ফল সংগ্রহ করার সময় ফলের কাণ্ড থেকে না টেনে বিশেষ কাঁচি বা ছুরি ব্যবহার করে ফলগুলো কাটা উচিত। এতে ফল দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণে সহায়ক হয়।
  • সংরক্ষণের পদ্ধতি: ফল সংরক্ষণের জন্য ফলগুলো পরিষ্কার ও শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে ফলকে ঠাণ্ডা জায়গায় রাখলে তা দীর্ঘদিন সতেজ থাকে।

মাল্টা গাছের বংশবিস্তার পদ্ধতি

মাল্টা গাছের বংশবিস্তার সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে করা হয়: বীজ এবং কলম।

  • বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার: মাল্টার বীজ থেকে চারা উৎপন্ন করা যায়। প্রথমে ভালো মানের পাকা ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর বীজগুলো ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর বীজতলায় লাগাতে হবে। তবে বীজ থেকে উৎপন্ন গাছ ফল ধরতে বেশি সময় নেয় এবং ফলের গুণগত মান কম হতে পারে।
  • কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার: মাল্টার কলম পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। কলম পদ্ধতিতে মাতৃগাছ থেকে শাখা বা ডাল কেটে অন্য গাছে সংযুক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিতে ফল দ্রুত পাওয়া যায় এবং ফলের গুণগত মানও ভালো থাকে।

কলমের মাধ্যমে মাল্টা গাছের বংশবিস্তার করতে চাইলে অভিজ্ঞ নার্সারির সাহায্য নেওয়া ভালো।

মাল্টা চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

মাল্টা একটি লাভজনক ফসল এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। মাল্টা চাষ থেকে লাভের সম্ভাবনা বেশি এবং এটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদাসম্পন্ন। মাল্টা গাছের ফলন বেশি হলে কৃষকের আয়ও বাড়ে।

  • মাল্টা চাষে কম খরচে বেশি লাভ: মাল্টা গাছের চাষে তুলনামূলকভাবে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়। প্রতি একরে প্রায় ১৫-২০ টন মাল্টা উৎপাদিত হতে পারে যা স্থানীয় বাজারে উচ্চ দামে বিক্রি করা যায়।
  • রপ্তানির সম্ভাবনা: বাংলাদেশে মাল্টা চাষের প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ ফলের আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা রয়েছে। দেশের কৃষকরা উৎপাদন বৃদ্ধি করে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে।
  • রোগমুক্ত ফলন: মাল্টা গাছের সঠিক পরিচর্যা ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে গাছের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং ভালো মানের ফল উৎপাদিত হয়।

মাল্টা চাষে সরকারের উদ্যোগ ও সহযোগিতা

বাংলাদেশে মাল্টা চাষ সম্প্রসারণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সার এবং কীটনাশক সরবরাহের মাধ্যমে সহায়তা করছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের অনুদান প্রদান করা হচ্ছে যা মাল্টা চাষ সম্প্রসারণে সহায়ক।

  • প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ: কৃষকদের মাল্টা চাষের সঠিক পদ্ধতি, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের নিয়ম এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
  • অর্থায়ন ও অনুদান: মাল্টা চাষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারি ব্যাংক এবং এনজিও সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে।
  • গবেষণা কার্যক্রম: মাল্টা গাছের রোগ প্রতিরোধ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য গবেষণা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে যা কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানায়।

আর পড়ুন:বাংলাদেশে এলাচ গাছ 

উপসংহার

মাল্টা চাষ একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় কৃষি খাত যা সঠিক পরিচর্যা এবং পদ্ধতি অনুসরণ করলে কৃষকদের জন্য আয়ের একটি বড় উৎস হয়ে উঠতে পারে। সঠিক মাটি, সার ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে গাছের ফলন বৃদ্ধি সম্ভব। বাংলাদেশে সরকারও মাল্টা চাষে কৃষকদের সহযোগিতা করছে যার মাধ্যমে কৃষকেরা ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হতে পারছেন। মাল্টা চাষে আগ্রহী কৃষকদের জন্য সঠিক প্রযুক্তি এবং পরিচর্যার পদ্ধতি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাতে তাদের চাষ সফল ও লাভজনক হয়। মাল্টা চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফল উৎপাদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *