বাগান বিলাস গাছের দাম – যত্ন এবং ফুল ফোটানোর কৌশল বিস্তারিত

বাগান বিলাস গাছের দাম

বাগান বিলাস গাছ যা বৈজ্ঞানিকভাবে Bougainvillea নামে পরিচিত একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফুলগাছ। এটি সহজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং চোখ ধাঁধানো রঙিন ফুলের জন্য পরিচিত। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এই গাছ ছাদ বাগান, বাউন্ডারি ওয়াল এবং বাড়ির আঙ্গিনা সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই আর্টিকেলে আমরা বাগান বিলাস গাছের দাম, বিভিন্ন প্রকার এবং গাছের যত্নের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোস্টে যা যা থাকছে...

বাগান বিলাস গাছ কী এবং এর প্রকারভেদ

বাগান বিলাস গাছের পরিচিতি:

বাগান বিলাস গাছের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর রঙিন ফুলের পাপড়ি। তবে মজার বিষয় হলো যেটিকে আমরা ফুল বলে মনে করি তা মূলত পাতার মতো পরিবর্তিত কাঠামো। এই রঙিন পাতাগুলোর মধ্যে ছোট ছোট সাদা ফুল থাকে।

আর পড়ুন: কাঠের আসবাবপত্র পরিষ্কার করার উপায়

গাছের প্রকারভেদ:

বাগান বিলাস গাছের বিভিন্ন জাত এবং রঙ রয়েছে। জনপ্রিয় রঙগুলো হলো:

  • সাদা: বাগানের জন্য শান্তিপূর্ণ এবং আকর্ষণীয়।
  • গোলাপি ও গাঢ় গোলাপি: সবচেয়ে সাধারণ এবং চাহিদাসম্পন্ন।
  • বেগুনি: বাগানের নান্দনিকতা বাড়ায়।
  • হলুদ ও মাল্টিকালার: আধুনিক বাগানের জন্য দারুণ।

বাগান বিলাস গাছ কেন জনপ্রিয়

বাগান বিলাস গাছের জনপ্রিয়তা এর সহজ পরিচর্যা এবং বহুমুখী ব্যবহারের কারণে।

গাছের বৈশিষ্ট্য:

  • এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং কম পানি প্রয়োজন হয়।
  • ফুলের রঙ এবং নকশা বাগানের নান্দনিকতা বাড়ায়।
  • গাছটি বাউন্ডারি ওয়াল ঢেকে দেয়ার জন্য এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আদর্শ।

ভারত ও বাংলাদেশে ব্যবহারের জনপ্রিয়তা

  • ভারত: বাড়ির ছাদ, বাগান এবং রাস্তার পাশে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়।
  • বাংলাদেশ: ছাদ বাগান এবং শহুরে এলাকায় বাগান বিলাস গাছ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বাগান বিলাস গাছের দাম কত

বাগান বিলাস গাছের দাম বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে যেমন গাছের উচ্চতা, প্রকারভেদ এবং স্থান।

বাংলাদেশে দাম:

  • ছোট চারা: ৬০–১৫০ টাকা।
  • মাঝারি গাছ: ২০০–৫০০ টাকা।
  • পরিপক্ক গাছ: ৭০০–১৫০০ টাকা।
  • সাদা বাগান বিলাস গাছ: ১৫০–২৫০ টাকা।

ভারতে দাম:

  • ছোট চারা: ৫০–১০০ রুপি।
  • মাঝারি গাছ: ১৫০–৪০০ রুপি।
  • পরিপক্ক গাছ: ৫০০–১০০০ রুপি।

দামের উপর প্রভাবক:

  • গাছের জাত ও রঙ।
  • গাছের আকৃতি ও আকার।
  • বাজারের চাহিদা।

কোথায় থেকে বাগান বিলাস গাছ কিনবেন

স্থানীয় নার্সারি: বেশিরভাগ শহরে এবং গ্রামীণ এলাকায় নার্সারিতে সহজেই বাগান বিলাস গাছ পাওয়া যায়। নার্সারিতে গাছ কিনলে তাজা ও স্বাস্থ্যবান চারা পাওয়া সম্ভব।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম:

  • বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট যেমন Daraz, NurseryLive এবং Amazon India থেকে গাছ কিনতে পারেন।
  • অনলাইন দামের সীমা: ১৫০–১০০০ টাকা।
  • বিশেষ ছাড় ও ফ্রি ডেলিভারি পাওয়া যেতে পারে।

সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনা: কৃষকদের কাছ থেকে গাছ কিনলে দামের তুলনায় ভালো মানের চারা পাওয়া যায়। এটি স্থানীয় বাজার ও কৃষকদের জন্যও উপকারী।

আর পড়ুন: গাছ কাটার আইন 

বাগান বিলাস গাছের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ

বাগান বিলাস গাছের সঠিক পরিচর্যা করলে এটি দীর্ঘদিন ধরে ফুল ফোটাতে সক্ষম।

মাটি ও সার:

  • বাগান বিলাস গাছ বেলে দোআঁশ মাটিতে ভালো জন্মায়।
  • মাটির pH স্তর ৬.৫–৭.৫ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
  • গাছের পুষ্টির জন্য প্রতি ২–৩ মাসে কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করুন।

আলো ও পানি:

  • সরাসরি সূর্যের আলো গাছের ফুল ফোটানোর জন্য প্রয়োজনীয়।
  • সপ্তাহে ২–৩ বার পানি দিন, তবে অতিরিক্ত পানি দেওয়া এড়িয়ে চলুন।

রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধ:

  • সাধারণত পাতা মোচড়ানো বা হলুদ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়।
  • কীটনাশক ব্যবহার করুন বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে রোগমুক্ত রাখুন।

ছাঁটাই:

  • গাছের আকৃতি সুন্দর রাখার জন্য প্রতি ৬ মাস অন্তর ছাঁটাই করুন।
  • ছাঁটাই করলে গাছ দ্রুত নতুন শাখা গজায়।

সাদা বাগান বিলাস গাছ – বিশেষত্ব ও দাম

সাদা বাগান বিলাস গাছের বৈশিষ্ট্য:

  • সাদা রঙের এই গাছ শান্তি এবং সৌন্দর্যের প্রতীক।
  • এটি বিভিন্ন রঙের গাছের সাথে বাগানে ব্যালেন্স আনে।

সাদা বাগান বিলাস গাছের দাম

  • বাংলাদেশ: ১৫০–২৫০ টাকা।
  • ভারত: ১০০–২০০ রুপি।

সাদা বাগান বিলাস গাছের যত্ন

অন্যান্য রঙের গাছের মতোই সাদা বাগান বিলাস গাছের পরিচর্যা করতে হয়।

  • নিয়মিত পানি ও আলো নিশ্চিত করতে হবে।
  • গাছটি সংবেদনশীল হওয়ায় অতিরিক্ত রোগ প্রতিরোধের জন্য সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

আর পড়ুন: জুঁই ফুল গাছের পরিচর্যা 

বাগান বিলাস গাছের ফুল ফোটানোর কৌশল

বাগান বিলাস গাছ ফুল ফোটানোর জন্য বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন। এটি এমন একটি গাছ যা সঠিক যত্ন পেলে সারা বছর রঙিন ফুল ফোটাতে সক্ষম।

সঠিক সার প্রয়োগ: ফুল ফোটানোর জন্য সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাগান বিলাস গাছের জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়ামযুক্ত সার ব্যবহার করতে পারেন।

  • নাইট্রোজেন: গাছের পাতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • ফসফরাস: ফুল এবং শিকড়ের বিকাশে সাহায্য করে।
  • পটাশিয়াম: গাছকে শক্তিশালী করে এবং ফুল ফোটানোর হার বাড়ায়।

প্রতি দুই মাস অন্তর জৈব সার বা কম্পোস্ট প্রয়োগ করা ভালো।

পানি সঠিকভাবে সরবরাহ: বাগান বিলাস গাছ অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। সপ্তাহে ২–৩ বার পানি দিতে হবে। শুকনো মৌসুমে বেশি পানি দেওয়া যেতে পারে তবে নিশ্চিত করুন মাটি যেন জলাবদ্ধ না হয়।

সূর্যের আলো নিশ্চিত করা: এই গাছের ফুল ফোটানোর জন্য দৈনিক ৬–৮ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যের আলো প্রয়োজন। যদি গাছ ছায়াযুক্ত জায়গায় থাকে তবে এটি কম ফুল ফোটাবে।

ছাঁটাইয়ের গুরুত্ব: ছাঁটাই করলে নতুন শাখা তৈরি হয় এবং গাছের বৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হয়। শুকনো ডাল ও পাতাগুলো ছেঁটে ফেলুন এবং গাছকে সঠিক আকারে রাখুন। বিশেষ করে শীতকালে ছাঁটাই করলে বসন্তে বেশি ফুল ফোটে।

প্রাকৃতিক টিপস: ফুল ফোটানোর হার বাড়ানোর জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করতে পারেন। যেমন কলার খোসা বা চা পাতা মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া। এতে মাটির পুষ্টি বৃদ্ধি পায় এবং গাছ দ্রুত ফুল ফোটায়।

বাগান বিলাস গাছের দাম

বাগান বিলাস গাছ কেনা এবং রোপণ প্রক্রিয়া

বাগান বিলাস গাছ কেনা এবং সঠিকভাবে রোপণ করা নতুন বাগানপ্রেমীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি শক্ত গাছ তবে সঠিক পদ্ধতিতে রোপণ না করলে এর বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

সঠিক গাছ নির্বাচন:

  • গাছ কেনার সময় সুস্থ এবং তাজা চারা নির্বাচন করুন। একটি ভালো চারার বৈশিষ্ট্য হলো:
  • পাতা সবুজ এবং শিকড় শক্তিশালী।
  • পাতা বা ডালে কোনো রোগের লক্ষণ না থাকা।

মাটি প্রস্তুতি: বাগান বিলাস গাছের জন্য সঠিক মাটি প্রস্তুত করা অপরিহার্য। মাটিতে বালু, কম্পোস্ট এবং কিছু পরিমাণ দোআঁশ মিশিয়ে নিন। মাটির ড্রেনেজ সিস্টেম ভালো হওয়া উচিত যাতে পানি জমে না থাকে।

রোপণের সময় ও পদ্ধতি: গাছ রোপণের সেরা সময় হলো বসন্ত এবং গ্রীষ্মকাল। চারা লাগানোর সময় মাটি থেকে প্রায় ৬ ইঞ্চি গভীরে গর্ত করুন। গাছটি গর্তে রাখার পর মাটি দিয়ে ঢেকে দিন এবং গাছের গোড়ায় হালকা চাপ দিন।

রোপণের পর যত্ন: গাছ লাগানোর পর প্রথম ২ সপ্তাহ নিয়মিত পানি দিন। সূর্যের আলো গাছের উপর যেন সরাসরি পড়ে তা নিশ্চিত করুন।

বাগান বিলাস গাছ দিয়ে বাগান সাজানোর টিপস

বাগান বিলাস গাছ বিভিন্নভাবে বাগান সাজাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি এমন একটি গাছ যা শুধুমাত্র সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না বরং বাগানে একটি স্টাইলিশ লুকও এনে দেয়।

  • ক্রিয়েটিভ ডিজাইন: গাছটিকে দেওয়ালের সাথে বা বাউন্ডারি ফেন্সে রোপণ করুন। এটি দ্রুত বাড়ে এবং একটি প্রাকৃতিক পর্দার মতো কাজ করে। ঝুলন্ত বাগানের জন্য বাগান বিলাস গাছ ব্যবহার করতে পারেন। ছোট টব বা ঝুলন্ত পাত্রে রোপণ করলে এটি চমৎকার দেখায়।
  • রঙিন সমন্বয়: বিভিন্ন রঙের বাগান বিলাস গাছ একসঙ্গে রোপণ করুন। গোলাপি, সাদা এবং বেগুনি রঙের সংমিশ্রণ বাগানের নান্দনিকতা বাড়ায়।
  • আকার অনুযায়ী রোপণ: গাছের আকারের উপর ভিত্তি করে এটি ছাদ বাগান, আঙ্গিনা বা বড় বাগানে ব্যবহার করতে পারেন। বড় গাছগুলো দেয়ালের সাথে রোপণ করা ভালো আর ছোট চারাগুলো টবে লাগানো যেতে পারে।

পরিবেশ এবং জলবায়ুর উপর বাগান বিলাস গাছের প্রভাব

বাগান বিলাস গাছ শুধু বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না। এটি পরিবেশের জন্যও উপকারী।

  • অক্সিজেন উৎপাদন: যে কোনো গাছের মতো বাগান বিলাস গাছও অক্সিজেন উৎপাদন করে এবং বায়ু পরিষ্কার করে। এটি শহরের বাগানে সবুজায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
  • মাটির ক্ষয়রোধ: বাগান বিলাস গাছের শিকড় মাটিকে শক্ত করে রাখে এবং ক্ষয় রোধ করে। এটি বিশেষ করে ঢালু এলাকায় রোপণ করা হলে মাটি ক্ষয়ের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
  •  তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: এই গাছ শহুরে এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর ছায়া এবং সবুজ পাতা পরিবেশকে শীতল রাখে।
  • বায়ুদূষণ কমানো: বাগান বিলাস গাছ বায়ু থেকে দূষিত গ্যাস শোষণ করতে পারে যা পরিবেশের মান উন্নত করে।

বাগান বিলাস গাছের চাহিদা বৃদ্ধির কারণ

বাগান বিলাস গাছের চাহিদা কেন দিন দিন বাড়ছে তা বোঝার জন্য কয়েকটি মূল কারণ বিবেচনা করা যেতে পারে।

  • কম জায়গায় সহজ চাষ: শহরের বাড়িঘর এবং অ্যাপার্টমেন্টে জায়গার সংকুলান হলেও এই গাছ সহজেই ছাদ বা ব্যালকনিতে লাগানো যায়।
  • কম পরিচর্যার প্রয়োজন: অন্যান্য অনেক গাছের তুলনায় বাগান বিলাস গাছের যত্ন নেওয়া সহজ। এটি কম পানি এবং সার দিয়েই ভালো বৃদ্ধি পায়।
  • সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আদর্শ: এর রঙিন ফুল এবং দ্রুত বৃদ্ধি বাগানের নান্দনিকতা বাড়ায়। এটি শুধুমাত্র বাড়ির জন্য নয় পার্ক এবং পাবলিক প্লেসের জন্যও জনপ্রিয়।
  • আর্থিক সুবিধা: বাগান বিলাস গাছের চারা ও পরিপক্ক গাছ বিক্রির মাধ্যমে অনেক কৃষক আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। এর দাম তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হলেও এর চাহিদা উচ্চ।

বাগান বিলাস গাছ – টিপস এবং সাধারণ প্রশ্নোত্তর

টিপস:

  • গাছের গোড়ায় নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার রাখুন।
  • বাগান বিলাস গাছের জন্য পর্যাপ্ত স্থান রাখুন যাতে এটি সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
  • ছত্রাক প্রতিরোধের জন্য গাছকে নিয়মিত কীটনাশক দিন।

সাধারণ প্রশ্নোত্তর:

প্রশ্ন: বাগান বিলাস গাছের ফুল ফোটাতে কত সময় লাগে?

উত্তর: সঠিক যত্ন নিলে চারা লাগানোর ৬–১২ মাসের মধ্যে ফুল ফোটে।

প্রশ্ন: গাছটি কি শীতকালে ফুল ফোটাবে?

উত্তর: শীতকালে ফুল কম ফোটে তবে ছাঁটাই এবং সঠিক যত্নে বসন্তে আবার ফুল ফোটে।

আর পড়ুন: আগর কাঠের দাম ২০২৪ 

উপসংহার

বাগান বিলাস গাছ একটি সহজ যত্নশীল এবং পরিবেশবান্ধব গাছ যা বাড়ির সৌন্দর্য এবং পরিবেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে এটি সারা বছর রঙিন ফুল দিয়ে পরিবেশকে আকর্ষণীয় করে তোলে। যদি আপনি আপনার বাগানের জন্য নতুন গাছ কিনতে চান তাহলে বাগান বিলাস গাছ অবশ্যই একটি চমৎকার পছন্দ হবে। আপনার বাগানকে আরও সুন্দর করে তুলতে আজই একটি বাগান বিলাস গাছ কিনুন!

আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন এবং আপনার বাগান বিলাস গাছের ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *