উলট কম্বল গাছ – পরিচিতি, উপকারিতা ও ব্যবহার

উলট কম্বল গাছ

উলট কম্বল গাছ বাংলাদেশের অনেক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ঔষধি গাছগুলোর মধ্যে একটি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Abroma augusta এবং স্থানীয় ভাষায় এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন উলট কম্বল, উলটকম্বল বা উলট-কম্বল গাছ। উলট কম্বল গাছ মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায় বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কায়। এর প্রচলন ও চাষাবাদ প্রধানত বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় বেশি দেখা যায় যেখানে স্থানীয় মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই গাছের ঔষধি গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছে।

এই গাছের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর ঔষধি ক্ষমতা। এটি সাধারণত বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে নারীস্বাস্থ্যে এবং যৌন স্বাস্থ্য উন্নতিতে। এর পাতা, মূল এবং বীজ থেকে বিভিন্ন ঔষধি তৈরি করা যায় যা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ কারণে উলট কম্বল গাছের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে চলেছে।

উলট কম্বল গাছের বৈশিষ্ট্য

উলট কম্বল গাছ একটি চিরহরিৎ ঝোপঝাড় ধরনের গাছ। এটি সাধারণত ২ থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। গাছটির পাতা বড় ও সরল এবং প্রান্ত কিছুটা খাঁজকাটা থাকে। গ্রীষ্মকালে এই গাছে লালচে বা বেগুনি রঙের ফুল ফোটে যা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। ফুল থেকে ফল উৎপন্ন হয় এবং এই ফলগুলো ছোট এবং সাদাটে রঙের বীজের ভেতরে আবৃত থাকে।

উলট কম্বল গাছের বীজ, পাতা এবং মূল—প্রতিটি অংশেই রয়েছে ঔষধি গুণাবলী। বিশেষ করে বীজের মধ্যে কিছু বিশেষ প্রাকৃতিক উপাদান পাওয়া যায় যা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। মূলত উলট কম্বল গাছের বীজে থাকা আলকালয়েড এবং গ্লাইকোসাইড যৌগের কারণে এই গাছটি ঔষধি ক্ষেত্রে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

উলট কম্বল গাছের উপকারিতা

উলট কম্বল গাছের অন্যতম প্রধান উপকারিতা হচ্ছে এর ঔষধি গুণ। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হিসেবে এই গাছ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে এটি একটি প্রাচীন সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি বিশেষত নারীদের মাসিক সংক্রান্ত সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। ঋতুস্রাবের ব্যথা উপশম, ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রণ এবং ঋতুমতী নারীদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সমাধানে উলট কম্বল গাছ বেশ কার্যকরী।

এছাড়াও গাছটি শারীরিক দুর্বলতা, রক্তাল্পতা এবং পেটের সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এর পাতা এবং মূলের নির্যাস হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। এছাড়াও এটি শরীরে শক্তি ও উদ্যম যোগায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় উলট কম্বল গাছের ব্যবহার বহুল প্রচলিত।

আর পড়ুন: ক্রিকেট ব্যাট কোন কাঠ দিয়ে তৈরি

উলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা

উলট কম্বল গাছের বীজ অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং এতে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান মানবদেহের জন্য উপকারী। বীজে থাকা বিশেষ প্রাকৃতিক যৌগ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক যা হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও উলট কম্বল গাছের বীজ হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখে।

গবেষণা অনুযায়ী উলট কম্বল গাছের বীজ বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। বীজের নির্যাস থেকে তৈরি ঔষধ সর্দি-কাশি, জ্বর এবং সংক্রমণজনিত বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ত্বকের প্রদাহ বা অ্যালার্জি দূরীকরণে বীজের পেস্ট প্রয়োগ খুবই কার্যকরী।

উলট কম্বল গাছের যৌন স্বাস্থ্য উপকারিতা

উলট কম্বল গাছের একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে যৌন স্বাস্থ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এটি পুরুষ ও নারীদের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়। গাছের মূল ও বীজ যৌন শক্তি বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের যৌন দুর্বলতা যেমন ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা অকালপতনের সমস্যা সমাধানে উলট কম্বল গাছের নির্যাস ব্যবহৃত হয়।

নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ঋতুমতী নারীদের যৌন সমস্যা এবং বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় এই গাছটি সহায়ক। উলট কম্বল গাছ যৌন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করে। এর নির্যাস যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতেও কার্যকরী বলে প্রাচীন কালের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় উল্লেখ রয়েছে।

উলট কম্বল গাছের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা

উলট কম্বল গাছ শুধুমাত্র যৌন স্বাস্থ্য উন্নয়নে নয় আরও অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়। এটি রক্তাল্পতা, মূত্রাশয়ের সমস্যা এবং হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা সমাধানে কার্যকরী। গাছটির মূলের নির্যাস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।

উলট কম্বল গাছের পাতা এবং মূলের নির্যাস ব্যবহার করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা এবং পাকস্থলির জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। উলট কম্বল গাছের নির্যাস নিয়মিত সেবনে মানসিক চাপ কমানো যায় এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

উলট কম্বল গাছের চাষাবাদ

উলট কম্বল গাছের চাষাবাদ বাংলাদেশে বেশ সহজ এবং এটি দেশের উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এই গাছটি প্রধানত বনাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে।তবে বর্তমানে ঔষধি গাছের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি চাষাবাদেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

চাষের জন্য উপযুক্ত স্থান

উলট কম্বল গাছ চাষের জন্য উর্বর মাটি প্রয়োজন হয়। সাধারণত লোমযুক্ত দোঁআশ মাটি এ গাছের জন্য আদর্শ। যেসব এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং সূর্যের আলো পর্যাপ্ত পৌঁছায় সেই স্থানগুলো উলট কম্বল চাষের জন্য উত্তম। বাংলাদেশের বনাঞ্চল এবং গ্রামীণ এলাকায় গাছটির প্রাকৃতিক বিস্তারের সাথে সাথে কৃষকরা এটিকে বাড়ির আশেপাশে বা কৃষিক্ষেতে লাগানো শুরু করেছে।

চাষ পদ্ধতি

উলট কম্বল গাছের বীজ সংগ্রহ করে সাধারণত বীজ থেকে গাছ জন্মানো হয়। বীজ রোপণের আগে মাটি ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হয়। বীজ রোপণের পর ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে অঙ্কুরোদগম ঘটে। গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং এর যত্নও খুব বেশি প্রয়োজন হয় না।

গাছটি নিয়মিত জলসেচ এবং আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। এছাড়া বীজ এবং ফুল আসার পর গাছের পুষ্টি বজায় রাখতে জৈব সার প্রয়োগ করা যায়। উলট কম্বল গাছের পরিচর্যা করলে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই এটি সম্পূর্ণ পরিপক্ক হয় এবং ফল ও বীজ উৎপন্ন করতে শুরু করে।

উলট কম্বল গাছের পরিবেশগত গুরুত্ব

উলট কম্বল গাছ শুধুমাত্র ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত নয় এটি পরিবেশের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাছটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন ধ্বংস এবং ভূমি ক্ষয়ের সমস্যা বেড়ে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে উলট কম্বল গাছের ভূমিকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

  • মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা: উলট কম্বল গাছের মূল মাটির গভীরে প্রবেশ করে এবং মাটির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়। এর ফলে মাটির ক্ষয় রোধ হয় এবং জমির উর্বরতা বজায় থাকে। এছাড়া মাটির পুষ্টি উপাদান ধরে রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা অন্যান্য ফসল চাষের জন্যও উপকারী।
  • বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ: উলট কম্বল গাছের পাতা বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন নির্গত করে যা পরিবেশের বায়ু দূষণ কমাতে সহায়ক। ফলে এই গাছটি যেসব এলাকায় বায়ু দূষণের সমস্যা রয়েছে সেখানে চাষ করা হলে বায়ু মান উন্নত করা সম্ভব।

আর পড়ুন: বাংলাদেশে আপেল গাছের পরিচর্যা 

উলট কম্বল গাছের ঔষধি ব্যবহার সম্পর্কিত গবেষণা

উলট কম্বল গাছের উপর বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়েছে যা প্রমাণ করে যে এই গাছটি স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষভাবে উপকারী। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এর ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। আধুনিক যুগে এই গাছের বিভিন্ন উপাদানের উপকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলাফল ঔষধ শিল্পেও প্রভাব ফেলেছে।

সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল

গবেষণায় দেখা গেছে উলট কম্বল গাছের মূল, পাতা এবং বীজে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক যৌগ ডায়াবেটিস, রক্তচাপ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই গাছের নির্যাসে থাকা গ্লাইকোসাইড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড যৌগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে উলট কম্বল গাছের বীজ নির্যাস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী কারণ এটি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও গাছের মূলের নির্যাস হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়ক।

উলট কম্বল গাছের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব

বাংলাদেশের অনেক প্রাচীন ঔষধি গাছের মধ্যে উলট কম্বল গাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ উলট কম্বল গাছকে “ঋতুস্রাবের গাছ” নামে চিনে থাকে কারণ এটি নারীদের ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গ্রামের মানুষরা তাদের লোকজ চিকিৎসা পদ্ধতিতে এই গাছ ব্যবহার করে আসছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।

ঐতিহ্যবাহী ব্যবহার

লোকজ চিকিৎসায় উলট কম্বল গাছের মূল এবং পাতার নির্যাস ব্যবহার করে পেটের সমস্যা, ঋতুস্রাবের ব্যথা এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ প্রস্তুত করা হয়। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে এই গাছটি যৌন স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্যও ব্যবহৃত হয় যা প্রাচীন সংস্কৃতির অংশ।

সামাজিক দিক থেকেও উলট কম্বল গাছের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অনেক আঞ্চলিক উৎসবে বা আচার-অনুষ্ঠানে উলট কম্বল গাছের বীজ এবং পাতা বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বাজারে উলট কম্বল গাছ ও এর পণ্যের প্রাপ্যতা

উলট কম্বল গাছের ঔষধি গুণাবলির কারণে বাজারে এর বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। বিশেষত এই গাছের মূল, পাতা, এবং বীজ থেকে তৈরি নির্যাস বা তেল বাজারে প্রচুর বিক্রি হয়। এটি গ্রামীণ হাট-বাজার থেকে শুরু করে অনলাইন স্টোরেও উপলব্ধ।

  • বাজার মূল্য: বাংলাদেশে উলট কম্বল গাছের পণ্যের দাম মূলত এর প্রাপ্যতা এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের উপর নির্ভর করে।  সাধারণত উলট কম্বল গাছের শুকনো বীজ বা নির্যাস প্রতি কেজি ৫০০-৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয় তবে বিভিন্ন কোম্পানির প্রস্তুত করা পণ্যগুলোর দাম কিছুটা বেশি হতে পারে। বিশেষ করে যারা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আগ্রহী তারা এই পণ্যগুলো প্রায়শই ব্যবহার করে থাকে।
  • অনলাইন ও অফলাইন প্রাপ্যতা: উলট কম্বল গাছের পণ্য বাংলাদেশে অনলাইনে সহজেই পাওয়া যায়। স্থানীয় বাজারগুলোতেও এটি পাওয়া যায় বিশেষত যেখানে আয়ুর্বেদিক বা হোমিওপ্যাথি পণ্যের দোকান রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট এবং সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে উলট কম্বল গাছের পণ্য কেনা সম্ভব।

আর পড়ুন: বাংলাদেশে এলাচ গাছ 

উপসংহার

উলট কম্বল গাছ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গাছ যা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধানে সহায়ক। এর ঔষধি গুণাবলি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রাচীন কাল থেকে পরিচিত এবং আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এর কার্যকারিতা পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্য এবং যৌন স্বাস্থ্য উন্নতিতে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া এর পরিবেশগত গুরুত্ব এবং বাজারমূল্য এটিকে আরও বেশি প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।

ভবিষ্যতে উলট কম্বল গাছ নিয়ে আরও গবেষণা এবং এর ঔষধি গুণাবলির সম্প্রসারণ করা যেতে পারে যাতে এটি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশে এই গাছটির চাষাবাদ বাড়ানো গেলে তা অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত দিক থেকে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *