আঙ্গুর গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Vitis vinifera. এটি উদ্ভিদতত্ত্বীয়ভাবে Plantae রাজ্যের Magnoliophyta বিভাগে এবং Magnoliopsida শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত। Vitales বর্গের Vitaceae পরিবার আঙ্গুর প্রজাতির প্রধান বিশ্বব্যাপী প্রতিনিধি। এই শ্রেণিবিন্যাস আন্তর্জাতিক উদ্ভিদতত্ত্বে স্বীকৃত উদাহরণস্বরূপ, The Plant List–এ V. vinifera-এর তথ্য পাব। Vitaceae পরিবারের উদ্ভিদ সাধারণত লতা ধরনের; অর্থাৎ গাছের শরীরটা মাটিতে আটকে না থেকে অন্য গাছ বা কাঠামো ভরসা করে বয়ে বেড়ায়। আঙ্গুর লতা খুবই মজবুত তাই বাঁশের ট্রিলিস বা লোহা-প্লাস্টিকের সমর্থন দিয়ে চাষ করতে হয়। লতা ছাড়াও মাটিতে বিস্তার করা স্ক্লেরোফাইল শেকড় দিয়ে Nutrient শোষণ করে গাছটিকে খাদ্য জোগায়। প্রজাতি V. vinifera ছাড়াও Vitis পরিবারের অন্যান্য প্রজাতি যেমন Vitis labrusca (আমেরিকান আঙ্গুর) বা Vitis rotundifolia (মুসকাডাইন) পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশে প্রধানত V. vinifera-র বিভিন্ন ভ্যারাইটি চাষ হয় কারণ এর ফল স্বাদে মিষ্টতা ও বাজার চাহিদা বেশি। এই পার্ঠে আমরা আঙ্গুর গাছ চাষ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ইতিহাস- আঙ্গুর গাছের উৎস ও বিবর্তন
আঙ্গুর চাষের ইতিহাস হাজার হাজার বছর পুরনো। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া ও ককেশিয়ানের অঞ্চলেই প্রায় ৮০০০ বছর আগে প্রথম আঙ্গুর বীজাবিশেষ পাওয়া যায়। ওই সময় কৃষকরা বন্য আঙ্গুর থেকে স্বাদ ও মিষ্টতা অনুসন্ধান করে সিলেকশন শুরু করেন।
আর পড়ুন: লবঙ্গ গাছ
রোম ও গ্রিস সভ্যতায় আঙ্গুর চাষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। ওদের তৈরিকৃত ওয়াইন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় আনুষ্ঠান্যে ব্যবহৃত হতো। মধ্যযুগে পরবর্তী আরব ও ইউরোপীয় পরিভ্রমণকারীরা আঙ্গুরের বিভিন্ন জাত এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে নিয়ে যান।
-
১৮ শতকে ভিনিসিয়ানরা আঙ্গুরজাতি আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে নতুন আঙ্গুর উদ্ভিদ উদ্ভাবন করেন
-
১৯ শতকে বিশেষ করে ফ্রান্সের ফিলক্সেরা কীটপতঙ্গ ইউরোপের আঙ্গুর বাগান ধ্বংস করলে আমেরিকান রুটস্টকের সাহায্যে পুনরুদ্ধার হয়
বাংলাদেশের ইতিহাসে আঙ্গুর তুলনামূলক নবীন; মূলত ১৯৯০-এর দশকে বীজবিহীন জাতের প্রারম্ভিক চাষ শুরু হয় রাজশাহী অঞ্চলে। গত দুই দশকে কৃষি গবেষণা সংস্থা BADC ও বিভিন্ন বেসরকারি নরসারি উন্নত ভ্যারাইটি ছড়িয়ে দেয়।
আঙ্গুর গাছের শারীরিক বৈশিষ্ট্য
আঙ্গুর উদ্ভিদ মূলত লতা ধরনের যা গতিতে দ্রুত বর্ধনশীল। এর শাখা–পাতা–ফল প্রতিটি অংশে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত গঠন দেখা যায়। লতা থেকে বের হওয়া শেকড় মাটিতে শক্তভাবে আটকে রাখে গাছটিকে পাশাপাশি Nutrient ও জল শোষণ করে।
পাতা সাধারণত ৮–১৫ সেন্টিমিটার প্রস্থের চতুর্ভুজ বা ত্রিভুজাকার। পাতার সামনে আবরণে নরম লোম ও পিছনে চকচকে সবুজ থাকে। পাতা মাঝে মাঝে সাদা ছোপ দেয় যা আলোকসঙ্কলনে সাহায্য করে। ফুলগুলো ছোট ও গুচ্ছাকারে উপস্থিত থাকলেও পরোক্ষে ফল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ফল আকৃতিতে গোলাকার বা আণ্ডাকৃতি, রঙের বিচিত্রতা রয়েছে—সবুজ, লাল, কালো বা নীলাভ। প্রতিটি ক্লাস্টারে ২০–৫০টি পর্যন্ত ফল ঝুলতে পারে।
-
বীজযুক্ত আঙ্গুরের ভেতরে ১–৪টি বীজ থাকে
-
বীজবিহীন জাতগুলো হাইব্রিডিং ও টিস্যু কালচারের মাধ্যমে তৈরি
নতুন লাগানো গাছ সাধারণত তিন বছরের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় ফলন শুরু করে এবং যেসব উন্নত ভ্যারাইটি সঠিক যত্ন পায় সেগুলো প্রতি বছর ১০–১২ মেট্রিক টন ফলন দেয় প্রতি হেক্টর।
আঙ্গুর গাছ চাষ পদ্ধতি, উপযোগী আবহাওয়া ও মাটি
আঙ্গুর চাষের জন্য উষ্ণ ও উপমণ্ডলীয় জলবায়ু সবচেয়ে উপযোগী। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০°C–এর অধিক না হওয়া ভালো আর রাতের তাপমাত্রা ১৫°C–এর নিচে নামলে ফুল বা বীজ গজানোতে বিঘ্ন ঘটে।
আর্দ্রতা ৫০–৬০% ভাল হলেও অতিরিক্ত নরমেন্স মোল্ড ও ফাংগাল রোগ বাড়ায়। বর্ষাকালে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকলে গাছ শিকড় পচে যেতে পারে।
মাটি হিসেবে দোআঁশিমাটি বা বেলে-দোঁআশিমাটি সর্বোত্তম কারণ এতে জলবিনিয়োগের পর অতিরিক্ত জল মাটিতে আটকে না থেকে নিষ্কাশিত হয়।
-
মাটির pH ৫.৫–৭.০ হলে পুষ্টি শোষণ ভাল হয়
-
মাটিতে পর্যাপ্ত জৈব পদার্থ থাকলে শেকড় সুস্থ থাকে
-
সড়কপথে সস্তা ট্রান্সপোর্ট উদ্দেশ্যে গাছের পাশে ড্রেনেজ নালা রাখলে অতিরিক্ত পানি সরিয়ে নিতে সুবিধা হয়
বাংলাদেশে রাজশাহী ও নওগাঁর দোআঁশিমাটি, নিরাপদ সেচ অপশনের মাধ্যমে আঙ্গুর চাষ সফলভাবে হচ্ছে। বর্তমান বাজারে চেনা “রাজশাহী আমেরিকান আঙ্গুর” প্রতি কেজিতে প্রায় ২৫০–৩০০ টাকা চলে যা উচ্চ মানের ফলন নিশ্চিত করে।
জনপ্রিয় প্রজাতি ও বৈচিত্র্য
বাংলাদেশে আঙ্গুর গাছের বিভিন্ন ভ্যারাইটি চাষ হয় যার মধ্যে বীজবিহীন Thompson Seedless, Flame Seedless এবং Superior Seedless সবচেয়ে জনপ্রিয়। Thompson Seedless জাত সাদা গোল আঙ্গুর উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং বাজারে প্রতি কেজির দাম প্রায় ২৫০–৩০০ টাকা। Flame Seedless লাল আঙ্গুরের জন্য বিখ্যাত; এর স্বাদ তিক্ত মিষ্টি ও সুগন্ধার কারণে ড্রাই কিসমিস তৈরিতে অত্যন্ত উপযোগী। Superior Seedless সহজে টেকসই ও রোগপ্রতিরোধী হওয়ার কারণে নতুন বাগানে বেশি চাহিদা পায়।
স্থানীয় ভ্যারাইটির মধ্যে রাজশাহী সাদা আঙ্গুর মিষ্টতা বেশি এবং নাটোর কালো আঙ্গুরটি রঙ ও স্বাদে বিশেষভাবে আলাদা। তাছাড়া Sultanina বা Kishmish Black জাতের আঙ্গুর থেকে প্রচুর কিসমিস তৈরি করা হয়। উন্নত প্রজাতিগুলোতে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করা হয় যাতে ডিজিজের সমস্যা কম থাকে। প্রতি হেক্টরে উন্নত ভ্যারাইটি থেকে গড়ে ১২–১৫ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায় যা পুরাতন জাতের তুলনায় প্রায় ২০% বেশি।
আঙ্গুর চাষের পদ্ধতি ও যত্ন
আঙ্গুর গাছের সফল চাষের জন্য শুরুতেই ভালো মানের বীজবিহীন কৃত্রিম কাণ্ড বা কাটিং ব্যবহারে জোর দিতে হবে। বর্ষা শেষে ছিটিয়ে রাখা কাটিংগুলো পরিষ্কার পানি ও হিউমাস মিশ্রিত মাটিতে রোপণ করতে হয়। চারা সুস্থ হলে লতা লাগানোর জন্য শক্ত পিলার, বাঁশ বা লোহা-প্লাস্টিকের ট্রিলিস তৈরি করা হয়।
সারের হিসেবে প্রতি হেক্টরে ২৫০ কেজি ইউরিয়া ৫০ কেজি সরিষার খৈল এবং ৫০০ কেজি টিএসপি মিশিয়ে বসন্তে দেওয়া শ্রেয়। গ্রীষ্মকালে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার সেচ দিতে হয় যাতে মাটি আর্দ্র থাকে কিন্তু জলে ডুবে না যায়। প্রুনিং শীতের শেষে করে লতার বর্ধন নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় এবং গাছের মাঝে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা হয় যাতে ছত্রাক জনিত রোগ কম হয়। কীটপতঙ্গ প্রতিরোধে Neem oil স্প্রে এবং Bordeaux মিশ্রণ দিয়ে নিয়মিত টার্গেট স্প্রে করতে হয়। প্রতি বছর ফসল কাটার পর পুরনো লতা ছেঁটে সূচনালগ্নে লতা পুনর্গঠন করতেই হবে যাতে পরবর্তী মরসুমে ভালো ফলন হয়।
উৎপাদন হার্ভেস্টিং ও সংরক্ষণ
আঙ্গুর গাছের ফল সাধারণত লাগানোর তিন বছর পর পূর্ণ মাত্রায় উৎপন্ন হয়। ওজন নমনীয় ফলগুলো পাকা অবস্থায় হ্যান্ডসির দিয়ে সাবধানে কাটা হয় যাতে ফলের ক্লাস্টার ভেঙে না যায়। কাটা ফল গ্রেডিং এর মাধ্যমে আকার এবং কালার হিসেবে ভাগ করা হয়। A গ্রেড ফলের বাজারদর প্রতি কেজি ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে।
সংরক্ষণের জন্য ফল ছায়া ঘরে ১৩–১৫° সেঃ তাপমাত্রায় রাখলে ২–৩ সপ্তাহ টাটকা থাকে। কোল্ড স্টোরেজে ২–৩° সেঃ রুমে সংরক্ষণ করলে ৪–৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ভাজিতা কম হয়। প্রসেসিং ইউনিটে আঙ্গুর রস, জ্যাম, জেলি ও কিসমিস তৈরির মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধি করা যায়। বিশেষ করে কিসমিস তৈরিতে প্রতি ১০ কেজি তাজা আঙ্গুর থেকে প্রায় ১ কেজি শুকনো ফল লাভ হয়।
আর পড়ুন: শসা বীজ রোপণের পদ্ধতি
পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যে উপকারিতা
আঙ্গুর গাছের ফল ভিটামিন সি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এতে প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। আঙ্গুরের খোসায় থাকা রেসভারাট্রল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গতিবেগ বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ফাইবারের কারণে পাচনক্রিয়া উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত আঙ্গুর খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চামড়ার বার্ধক্য কমে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মাঝারি মাত্রায় আঙ্গুরের রস দক্ষ মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চিনি বেশি রোগীদের পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাণিজ্যিক ব্যবহার ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
আঙ্গুর গাছ থেকে সরাসরি বাজারজাতকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং এগ্রো ট্যুরিজম—এই তিন ক্ষেত্রেই বড় অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় বাজারে দক্ষ কৃষকরা প্রতি মৌসুমে ১০–১২ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন একটি হেক্টর আঙ্গুর বাগান থেকে। রপ্তানি মানসম্পন্ন আঙ্গুরের চাহিদা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বেশি যার কারণে প্রতি টন বীজবিহীন আঙ্গুর রপ্তানিতে আয় প্রায় ১৫০০–২০০০ ইউএস ডলার।
প্রক্রিয়াজাত পণ্য যেমন আঙুরের রস ও জ্যাম বাজারে ২০–৩০% বেশি লাভের মার্জিন দেয়। এগ্রো ট্যুরিজম সংযুক্ত বাগানে পর্যটকরা প্রবেশ ফি দিয়ে স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে।
পরিবেশগত গুরুত্ব
আঙ্গুর গাছ মাটির ক্ষয় রোধে সাহায্য করে কারণ লতা ও শেকড় মাটিকে বাঁধে রাখে। শুষ্ক মৌসুমে গাছের পাতায় জমা থাকা শিশির ও বৃষ্টির জল মাটিতে দোঁআশিত না হয়ে নিষ্কাশিত হয়। ফটোসিন্থেসিসের মাধ্যমে গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে ওজে অক্সিজেন উৎপন্ন করে বায়ুদূষণ কমায়।
বাগানে বিভিন্ন পাখি ও প্রাণী বাস করে যা জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে সহায়ক। প্রুনিং-এ উৎপন্ন ছাই ও শাখা গোবর সার হিসেবে ব্যবহৃত হলে মাটির উর্বরতা বাড়ে।
বাংলাদেশে আঙ্গুর চাষের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের উষ্ণ আবহাওয়া আঙ্গুর চাষ সহজতর করেছে বিশেষ করে রাজশাহী ও নাটোর অঞ্চলে। নতুন বীজবিহীন ভ্যারাইটি প্রবর্তন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কারিগরি সহায়তা বাড়াতে হবে।
চ্যালেঞ্জ হিসেবে আছে অল্প সেচ সুবিধা ঝুঁকি, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ফাঙ্গাল রোগের বৃদ্ধি, এবং বাজার ব্যবস্থাপনার ঘাটতি। কৃষক মাঠ পর্যায়ে প্রুনিং ও রোগনিয়ন্ত্রণে দক্ষতা অর্জন করলে ফলন ও আয় দ্বিগুণ করা সম্ভব।
আঙ্গুর গাছ চাষ পদ্ধতি সাধারণ সমস্যা ও সমাধান
আঙ্গুর গাছে সাধারণত ফাঙ্গাল রোগ, পড রোট ও পাপড়ি ছত্রাকের আক্রমণ বেশি দেখা যায়। নিয়মিত Bordeaux মিশ্রণ কিংবা কার্বেন্ডাজিম স্প্রে করলে ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কীটপতঙ্গ দূর করতে Neem oil অথবা দিয়ে ম্যালাথিওন স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজার ঝুঁকি কমাতে সমবায় বা কৃষক গ্রুপ তৈরি করে সরাসরি পাইকারি বিক্রয়ে মনোনিবেশ করা উচিত।
আর পড়ুন: সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার পদ্ধতি
উপসংহার – আঙ্গুর গাছ চাষ পদ্ধতি
আঙ্গুর গাছ বাংলাদেশে সঠিক পদ্ধতি ও যত্নে চাষ করলে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি বৃদ্ধির সঙ্গে কৃষকের আয় বাড়াতে পারে। উষ্ণ আবহাওয়া, দোআঁশিমাটি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রযুক্তি সহায়তা মিলিয়ে আঙ্গুর চাষে বিনিয়োগ লাভজনক হয়।
আপনারা যদি আঙ্গুর গাছ চাষে আগ্রহী হন তাহলে স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে প্রশিক্ষণ নিন এবং উন্নত ভ্যারাইটি ব্যবহার করুন। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন কমেন্টে বা এই আর্টিকেল শেয়ার করে অন্যদের সাথে সহায়তা করুন।